Category Archives: Linux Lan Networking

উইন্ডোজ ভিত্তিক নেটওয়ার্কে লিনাক্স প্রবর্তন -(সাম্বা)

উইন্ডোজ নেটওয়ার্ক ভিত্তিক একটি অফিস/ কর্পোরেট পরিবেশে লিনাক্সের প্রচলন করতে গেলে প্রথমেই বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরনের একটি নেটওয়ার্কে আগে থেকেই ব্যবহারকারীরা বেশ কিছু কাজ ক্লিক এন্ড গো এর মাধ্যমে করতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন যেমন- প্রিন্টার শেয়ারিং, ফোল্ডার শেয়ারিং ইত্যাদি। এ ধরনের কাজ লিনাক্সেও এখন গ্রাফিক্যালি করা যায়। তবে লিনাক্সে কোন সিস্টেমকে বাস্তবায়ন করতে হলে সিস্টেমটি সম্পর্কে একটি পরিপূর্ন ধারনা রাখা জরুরী। এজন্য গ্রাফিক্যাল স্টেপের পাশাপাশি সিস্টেমের মূল কনফিগারেশন ফাইলগুলিকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা শিখতে হয়। আমরা এ টিউটোরিয়ালটিতে একটি লিনাক্স মেশিনকে কিভাবে উইন্ডোজ নেটওয়ার্কে সফলতার সাথে সেট আপ করে ব্যবহার উপযোগী করা যায় তা দেখব। আগেই বলে রাখা ভাল, এখানে ব্যবহৃত সকল কমান্ড ডেবিয়ান ও ডেবিয়ান বেজড ডিস্ট্রোর (যেমনঃ উবুন্তু, মেপিস, সিডাক্স, ড্রিম লিনাক্স, লিনাক্স মিন্ট) জন্য কাজ করবে।

লিনাক্সকে এ ধরনের নেটওয়ার্কের সাথে খাপ খাওয়াতে হলে সাম্বা (samba) নামে একটি প্যাকেজ গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। এটির সাহায্যে লিনাক্স মেশিন উইন্ডোজ মেশিনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ডিভাইস শেয়ারিং (যেমনঃ প্রিন্টার, স্ক্যানার, সিডি/ডিভিডি রম) এর কাজ করে থাকে। উইন্ডোজ এর নিজস্ব নেটওয়ার্কিং প্রটোকল হচ্ছে SMB। সাম্বা লিনাক্স পরিবেশে এ প্রটোকল বাস্তবায়ন করে থাকে তাই লিনাক্স মেশিন খুব সহজেই উইন্ডোজ মেশিনকে চিনতে পারে। এছাড়াও সাম্বার সাহায্যে লিনাক্স মেশিনকে উইন্ডোজ নেটওয়ার্কের WINS Server বা ডোমেইন কন্ট্রোলার হিসেবে রূপান্তরিত করা যায়। তবে আমরা এখানে একটি পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কিং পরিবেশে লিনাক্সকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা দেখব অর্থাৎ এখানে সব মেশিন একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্কগ্রুপের অধীনে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে। এ ধরনের নেটওয়ার্কিং দিয়ে সাধারন অফিস বা বাসাবাড়িতে কাজ করা হয়ে থাকে।

আধুনিক কাস্টোমাইজড ডিস্ট্রোগুলিতে সাম্বা সাধারনত ইনস্টল করা থাকে। এটি ইনস্টল করা আছে কিনা তা জানার জন্য কমান্ড দিনঃ

apt-cache search samba

এ কমান্ডটি দিলে একটি লম্বা লিস্ট দেখতে পাবেন। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। apt যেহেতু ডিপেনডেন্সী নিজেই মেইনটেইন করে থাকে তাই সাম্বা ইনস্টলের জন্য শুধুমাত্র samba প্যাকেজটি ইনস্টল করাই যথেষ্ট। অন্যান্য প্যাকেজ যেমন samba-common নিজে থেকেই ইনস্টল হয়ে যাবে। তাহলে সাম্বা ইনস্টলের জন্য কমান্ডটি হবে নিম্নরূপঃ

apt-get install samba

সাম্বাকে ডেমন হিসেবে ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করাতে চাইলে সেটির স্ক্রিপ্ট পাওয়া যাবে /etc/init.d/samba- এখানে। সাম্বার জন্য কনফিগারেশন ফাইল পাওয়া যাবে নিচের ডিরেক্টরীতেঃ

/etc/samba

সাম্বার প্রধান কনফিগারেশন ফাইলটি হচ্ছে smb.conf যেটি উপরোক্ত ডিরেক্টরী বা ফোল্ডারে থাকে। সাম্বা ফাইল-প্রিন্ট শেয়ারিং অথবা ডোমেইন কন্ট্রোলার যেটি হিসেবেই কাজ করুন না কেন তা এ ফাইলের বিভিন্ন অপশনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়ে থাকে।

smb.conf টিতে মোট ছয়টি সেকশন আছে। প্রতিটি সেকশনের কাজই ভিন্ন ভিন্ন। আসুন এগুলি প্রথমে দেখে নেই।

1. [global] – এ সেকশনে অনেকগুলি সাব-সেকশন আছে যা বিভিন্ন নেটওয়ার্ক রিলেটেড কাজ যেমন- domain/workgroup নাম, WINS, প্রিন্ট শেয়ারিং সেটিংস, অথেনটিকেশন, লগিং এন্ড একাউন্টিং ইত্যাদি করা হয়ে থাকে।
2. [homes] – ব্যবহারকারীর নিজস্ব হোম ডিরেক্টরী/ফোল্ডার শেয়ারিং করে থাকে অন্য মেশিনের সাথে।
3. [netlogon] – এটি সাধারনতঃ কমেন্ট চিহ্নের সাহায্যে বন্ধ করা থাকে যা সাম্বা সার্ভারকে ডোমেইন কন্ট্রোলার হিসেবে সেটআপ করে থাকে।
4. [printers] – লোকাল প্রিন্টার সমূহকে অন্য মেশিনের সাথে শেয়ারিং করার জন্য
5. [print$] – to set up a share for Windows printer drivers
6. [cdrom] – commented out by default, to optionally share the server’s CD-ROM drive

প্রত্যেকটি সেকশন কিছু স্টেটমেন্টের সমষ্টি যার ফরম্যাট নিম্নরূপঃ
option = value

একটি সাধারন ফাইল ও প্রিন্ট শেয়ারিং

এখন আমরা খুব সাধারন একটি ফাইল ও প্রিন্ট শেয়ারিং কনফিগারেশন করবো সাম্বা প্যাকেজের সাহায্যে। এ ধরনের শেয়ারিং করতে কোন পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হবে না এবং একজন ব্যবহারকারী যেকোন মেশিনের ফাইল, ফোল্ডার ও প্রিন্টার যা শেয়ার করা আছে তা নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারবেন। হোম এবং স্মল অফিস নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এ ধরনের শেয়ারিং বেশী ব্যবহৃত হয়। এজন্য সাম্বার কনফিগারেশন ফাইলটি হবে নিম্নরূপঃ


[global]
panic action = /usr/share/samba/panic-action %d
workgroup = BANK
server string = %h server (Samba %v)
hosts allow = 192.168.0. 192.168.1. 192.168.2. 192.168.79. 127. 10.0.0. 10.1.1.
security = share
map to guest = Bad User

;For Printer Sharing
printing = cups
printcap name = cups
printer name = hp_zahid
use client driver = no
;*******************section Homes*****************
[Shared]
path = /home/zahid/Shared
guest ok = yes
read only = no

[Music]
path = /home/zahid/Music
guest ok = yes
read only = no

[homes]
path = /home/zahid
guest ok = yes
comment = Home Directories
read only = no
;*******************section printers*****************
[printers]
comment = All Printers
path = /tmp
printable = yes
guest ok = yes
create mask = 0777
browseable = No

[hp_zahid]
printable = yes
path = /tmp
guest ok = yes
comment = hp_zahid

;************************section other folders****************
[My Documents]
guest ok = yes
path = /mnt/hda5/My Documents/

[Soft]
guest ok = yes
path = /mnt/hda6/Soft

আসুন উপরোক্ত ফাইলটির বিভিন্ন অপশনগুলির কোনটি কি ধরনের কাজ করে থাকে তা আলোচনা করি। এ অপশগুলি ছাড়াও অনেক অপশন রয়েছে যা সবসময় কাজে লাগে না। এজন্য সাম্বার অফিসিয়াল ম্যানুয়াল দেখে নিতে পারেন।

প্রথমেই global সেকশন-

workgroup = BANK – আপনার কম্পিউটার যে নেটওয়ার্কের অধীনে আছে তার ওয়ার্কগ্রুপের (BANK) নাম।

hosts allow – এ অপশনে নেটওয়ার্কের যে সব মেশিন সাম্বা ব্যবহার করতে পারবে তাদের আই.পি নাম্বার এর তালিকা। কোন নির্দিষ্ট মেশিনকে অনুমতি দিতে চাইলে তার আই.পি নম্বর (১৯২.১৬৮.২.৩) দিতে হবে। আর যদি ওয়ার্কগ্রুপের সবাইকে পারমিশন দিতে চান তাহলে উক্ত ওয়ার্কগ্রুপের প্রথম তিনটি অক্টেট নম্বর দিতে হবে (১৯২.১৬৮.২.)। প্রতিটি এন্ট্রির পর একটি স্পেস দিতে হবে।

security = share এটি একটি গুরুত্বপূর্ন অপশন। এখানে share অপশন দিলে পাসওয়ার্ড ছাড়াই যে কেউ সাম্বা ব্যবহার করতে পারবে। আর যদি এখানে user দেয়া হয় তাহলে পাসওয়ার্ড ছাড়া সাম্বার বিভিন্ন শেয়ারিং ব্যবহার করা যাবে না। বর্তমান উদাহরনে যেহেতু আমরা একটি বেসিক নেটওয়ার্ক সেটআপ করতে যাচ্ছি যেখানে সবাই পাসওয়ার্ড ছাড়াই প্রিন্টার, ফোল্ডার শেয়ার করবেন তাই এটি আমরা share অপশন হিসেবে সেট করব।

map to guest = bad user সাম্বা যখন পাসওয়ার্ড প্রদান/ অথেনটিকেশন ছাড়া ব্যবহার করা হবে তখন গেস্ট হিসেবে কোন একাউন্ট সিস্টেম ব্যবহার করবে তা এখানে দিয়ে দেয়া হয়।

printing = cups এ অপশনটির সাহায্যে প্রিন্টার হিসেবে সাম্বা কি ব্যবহার করবে তা বলে দেয়া হয়। cups (common unix printing system)বেশীরভাগ লিনাক্সের ক্ষেত্রে প্রিন্টিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়।cups ইনস্টল আছে কিনা তা দেখার জন্য ব্রাউজার খুলে এ্যাড্রেস বারে লিখুন- http://localhost:631। যদি সফলভাবে কাপস এর পেজ দেখা যায় তবে এখানে বিভিন্ন কাজ গ্রাফিক্যালি করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে bsd ব্যবহার করা যায়।

printcap name = cups এ অপশনটিও প্রিন্টার এর জন্য ব্যবহৃত হয়।

printer name = hp_zahid এখানে যে প্রিন্টার এর নাম থাকবে তা শেয়ারিং এর সময় দেখা যাবে।এ অপশনটি Add Printer Wizard থেকে কোন প্রিন্টার সেটআপ করা হলে তবেই পাওয়া যাবে।

use client driver = no প্রিন্টার ইনস্টলের সময় কোন ড্রাইভার ব্যবহার করবে তা বলে দেয়া হয়। যদি no এর বদলে Yes থাকে তবে প্রিন্টার শেয়ারিং এর সময় প্রিন্টার মেশিন ছাড়া ও অন্য লোকেশন থেকে ড্রাইভার ইনস্টল করা যায়।

এবার আমরা [shared], [music], [home], [My Documents] & [Soft] সেকশনগুলি আলোচনা করবো। এগুলি একেকটি ফোল্ডার শেয়ার এর জন্য ব্যবহৃত হবে।

[home] – ব্রাকেটের মধ্যে যে নাম থাকবে শেয়ারিং এর সময় ফোল্ডার হিসেবে সে নামই দেখা যাবে।

path = /home/zahid – এখানে যে ফোল্ডার শেয়ারিং করবেন তার পাথ/লোকেশন দেয়া থাকে।

guest ok = yes – এ অপশনের সাহায্যে কোন গেস্ট একাউন্ট দিয়ে উক্ত সাম্বা সেট আপের ফাইল, ফোল্ডার ব্যবহার করা যাবে কিনা তা বলে দেয়া হয়।

এবার প্রিন্টার এর জন্য আরো দুটি সাব-সেকশন [printers] এবং [hp_zahid] নিয়ে আলোচনা করবো। প্রিন্টার এর জন্য কয়েকটি অপশন আমরা আগেই [global] সেকশনে দিয়ে এসেছি। বাকীগুলি এ দুটি সেকশনে দেয়া আছে।

Comment = All Printers – শেয়ারিং হিসেবে প্রিন্টার এর লিংকে এ নাম দেখা যাবে।

Path = /tmp – এখানে প্রিন্টার তার টেম্পরারি ফাইল হিসেবে যে ফোল্ডার ব্যবহার করবে তার লোকেশন দেয়া হয়।

Printable = yes – এটি যদি no দেয়া হয় তবে প্রিন্টার দেখা গেলেও তা দিয়ে প্রিন্ট করা যাবে না। তাই শেয়ারিং এর জন্য এটি অবশ্যই yes রাখতে হবে।

Guest ok = yes – এর কাজ আগের ফোল্ডারের বিবরনের মতই।

Browseable = no – এটি no দেয়া থাকলে এক্সপ্লোরারের সাহায্যে প্রিন্টার দেখা যাবে না। তবে শেয়ার করা যাবে।

[hp_zahid] – এ ধরনের আলাদা সেকশন থাকে যদি লোকাল কোন প্রিন্টারকে সুনির্দিষ্টভাবে শেয়ার করার প্রয়োজন হয়। এর কাজও আগের মতই। এ সেকশনটি সাধারনতঃ কোন প্রিন্টার লোকালি ইনস্টল করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগারেশন ফাইলে যুক্ত হয়ে থাকে। যেমনঃ কেডিইতে Add Printer Wizard এর সাহায্যে কোন প্রিন্টার লিনাক্সে ইনস্টল করা হলে এরকম আলাদা একটি সেকশন যুক্ত হবে।

উপরে আমরা যে কনফিগারেশন ফাইলটি দেখলাম সেটি এডিট করার জন্য ভি-এডিটর বা এ জাতীয় কোন টেক্সট এডিটর ব্যবহার করুন। এর জন্য কমান্ড হবেঃ vi /etc/samba/smb.conf । যদি অন্য কোন এডিটর ব্যবহার করতে চান তবে vi এর স্থলে তার নাম দিন যেমনঃ gedit, kedit etc.। এভাবে একটি লিনাক্স মেশিন থেকে উইন্ডোজ মেশিনে ফোল্ডার ও প্রিন্টার শেয়ারিং করা যায়। উপরের কনফিগারেশন ফাইলটিতে বেশ কয়েকটি ফোল্ডার শেয়ারিং এর জন্য এন্ট্রি আছে। এখানে আপনার প্রয়োজনমত যে কয়টি ফোল্ডার শেয়ার করা দরকার শুধুমাত্র সে কয়টি ফোল্ডার শেয়ার করুন।
সবার শেষে কনফিগারেশন ফাইল এডিট করার পর সাম্বা রি-স্টার্ট করতে হবে যাতে পরিবর্তনসমূহ কার্যকরী হয়। এজন্য কমান্ড দিনঃ /etc/init.d/samba restart

উইন্ডোজ মেশিন থেকে লিনাক্স মেশিনের ফোল্ডার ও প্রিন্টার শেয়ারিং

সাম্বা ইনস্টল ও কনফিগারেশন করার পর আমরা এখন উইন্ডোজ মেশিন থেকে কিভাবে লিনাক্স মেশিনকে শেয়ার করা যায় তা দেখব।এটি করার পর লিনাক্স মেশিন থেকে কিভাবে উইন্ডোজ মেশিনের রিসোর্স শেয়ার করা যায় তা দেখব।

প্রথমে উইন্ডোজ মেশিন থেকে লিনাক্স মেশিনে প্রবেশ করার জন্য উইন্ডোজের স্টার্ট মেনু থেকে রান মেনুতে ক্লিক করুন। তারপর লিনাক্স মেশিনের আইপি (যেমনঃ //১৯২.১৬৮.২.৩) টাইপ করুন অথবা //hostname। তারপর লিনাক্সের প্রিন্টারটিতে রাইট মাউস ক্লিক করে Connect ক্লিক করুন। ড্রাইভার ইনস্টলের জন্য ডায়ালগ বক্স অনুসরন করুন।

শেয়ারড ফোল্ডারগুলি হোস্ট নেম/মেশিনের আইপি প্রবেশ করালেই উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে দেখা যাবে।

লিনাক্স মেশিন থেকে উইন্ডোজ মেশিনের ফোল্ডার ও প্রিন্টার শেয়ারিং

লিনাক্স মেশিন থেকে কোন উইন্ডোজ মেশিনে শেয়ার করা ফোল্ডার দেখার জন্য ডিফল্ট ফাইল ব্রাউজার যেমনঃ konqueror, nautilus খুলুন। তারপর এ্যাড্রেস বারে লিখুনঃ smb://hostname যেখানে হোস্টনেম এর জায়গায় মেশিনের আইপি নম্বর (192.168.2.3)অথবা হোস্টনেম (mepis1, pc1 etc)ইত্যাদি দিতে হবে। তারপর এন্টার কি প্রেস করলেই ফোল্ডার সমূহ দেখতে পাবেন।

লিনাক্স মেশিন থেকে উইন্ডোজ মেশিনে ইনস্টলকৃত প্রিন্টার শেয়ারিং এর জন্য লিনাক্স এর নিজস্ব Add Printer Wizard ব্যবহার করুন।

ছবি

যেমন উপরের চিত্রে কেডিই ইন্টারফেসের Add Printer Wizard ডায়ালগ বক্স দেখা যাচ্ছে। এখানে SMB shared printer (Windows) সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করি। তারপর ইউজার আইডেন্টিফিকেশন বক্স আসলে Anonymous সিলেক্ট করি। তারপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মত সবকিছু বসিয়ে আবার নেক্সট ক্লিক করি।
ছবি

তবে স্ক্যান বাটনে ক্লিক করেও লোকাল প্রিন্টার খুজে বের করা যায় উইন্ডোজ মেশিনের মত। কিন্তু মাঝে মাঝে সমস্যা হয় ডিটেক্ট করতে এজন্য উপরের মত নিজ হাতে কনফিগার করে দিলেই ভাল। পরের ডায়ালগ বক্সে প্রিন্টার মডেল (Manufacturer, Model) নির্বাচন করে আবার নেক্সট বাটনে ক্লিক করি। ড্রাইভার সিলেকশন বক্সে রিকমেন্ডেড ড্রাইভার সিলেক্ট করে পরবর্তী ধাপে যাই। পরবর্তীতে একইভাবে ব্যানার, কোটা, ইউজার একসেস কন্ট্রোল ইত্যাদি সিলেক্ট করে কাজ শেষ করি। সর্বশেষ ধাপে প্রিন্টার এর একটি নাম যেমন- hp_bank ইত্যাদি দিয়ে দেই। তারপর Finish বাটনে ক্লিক করে কাজ শেষ করি।

ট্রাবলশুটিং

সাম্বার সাহায্যে লিনাক্স ও উইন্ডোজ মেশিনের মধ্যে নেটওয়ার্কিং করার সময় বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেগুলি কিভাবে সমাধান করতে হয় তা এখন দেখব।

১. প্রথমেই দেখুন /etc/samba/smb.conf ফাইলের hosts allow অপশনে আপনার মেশিনের নেটওয়ার্ক/ আইপিকে অনুমতি দেয়া আছে কিনা? দেয়া না থাকলে এখানে মেশিনের আইপি যেমনঃ ১৯২.১৬৮.২.৭৫ অথবা সম্পূর্ন নেটওয়ার্ক (১৯২.১৬৮.২.) কে যুক্ত করুন।

২. অনেক সময় ফায়ারওয়্যাল এনাবল করা থাকলে সাম্বা কাজ করতে পারে না। এজন্য লিনাক্স মেশিনের ফায়ারওয়্যাল (গার্ডডগ, ফায়ারস্টার্টার) বন্ধ করে নিন। প্রয়োজনে উইন্ডোজ মেশিনের ফায়ারওয়্যাল ও বন্ধ করে নিন। ফায়ারওয়্যাল চালু রাখতে চাইলে সাম্বার জন্য ১৩৭, ১৩৮, ১৩৯ নম্বর পোর্ট খুলে রাখুন। এজন্য কোন গ্র্যাফিক্যাল টুলস যেমনঃ ওয়েবমিন, গার্ডডগ, ফায়ারস্টার্টার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

৩. ifconfig -a কমান্ড দিয়ে দেখুন সাম্বার ব্রডকাস্ট এ্যাড্রেস এবং অন্য ক্লায়েন্টদের ব্রডকাস্ট এ্যাড্রেস একই আছে কিনা?

৪. smbclient -L localhost কমান্ড দিয়ে দেখুন সাম্বা সার্ভিস চালু আছে কিনা?

৫. testparm – সাম্বা রিস্টার্টের আগে এ কমান্ড দিয়ে দেখুন সাম্বার কনফিগারেশন ফাইল ঠিক আছে কিনা?

৬. smbstatus – কমান্ড দিয়ে দেখুন সাম্বার স্ট্যাটাস

৭. http://localhost:631 পাথ ব্রাউজারে লিখে এন্টার দিন। তারপর কাপসের জন্য পারমিশন দিয়ে দিন যাতে অন্য মেশিন থেকেও কাপসকে সাম্বার সাহায্যে শেয়ার করা যায়।

৮. যেকোন প্রিন্টার সেকশনের জন্য /etc/samba/smb.conf ফাইলে দেখুন path = /tmp অথবা path = /var/spool/samba এর মত কোন ভ্যালিড পাথ আছে কিনা?

৯. যদি আপনার মেশিনে দুটি নেটওয়ার্ক কার্ড থাকে তাহলে [global] সেকশনে interfaces = 127.0.0.1, 192.168.2.75/24 এবং bind interfaces = yes লাইন দুটি যোগ করে নিন।

১০. প্রিন্টার শেয়ারিং এ সমস্যা হলে [global] সেকশনে দেখুন printing = cups এবং printcap = cups লাইন দুটি আছে কিনা? যদি না থাকে তাহলে যোগ করে নিন।

ডেবিয়ান লিনাক্সে সাম্বা সার্ভার কনফিগারেশন

  • সাম্বা কি?

সাম্বা হচ্ছে কিছু ইউনিক্স অ্যাপ্লিকেশনের সমষ্টি যেটি SMB(সার্ভার মেসেজ ব্লক) প্রটোকল নিয়ে কাজ করে থাকে। উইন্ডোজ এবং ওএস/2 এর মত অপারেটিং সিস্টেমগুলি‍ ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্কিং এর জন্য SMB প্রটোকল ব্যবহার করে থাকে। এ প্রটোকল সাপোর্টের মাধ্যমে সাম্বা ইউনিক্স সার্ভারকে কার্যকরী করে তোলে এবং মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট সমূহ যে প্রটোকল ব্যবহার করে সেই একই প্রটোকল এর সাথে যোগাযোগে সহায়তা করে থাকে।

  • সাম্বা ডেবিয়ান প্যাকেজসমূহ


এ প্যাকেজ সমূহ সেই সমস্ত কম্পোনেন্টসগুলোর সমষ্টি যা একটি ডেবিয়ান জিএনইউ/লিনাক্স সিস্টেমকে শক্তিশালী ফাইল এবং প্রিন্টার সার্ভারে পরিনত করে।

বর্তমানে সাম্বা ডেবিয়ান প্যাকেজসমূহ যে কম্পোনেন্টসগুলো নিয়ে গঠিত আসুন তা এক নজরে দেখে নিইঃ

samba – ল্যান ম্যানেজার- ইউনিক্স সিস্টেমে ফাইল এবং প্রিন্টার সার্ভারের ন্যায় কাজ করে থাকে
samba-common – সাম্বার কমন ফাইলসমূহ যা একই সাথে সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট ব্যবহার করে থাকে
smbclient – ল্যান ম্যানেজার-ইউনিক্স সিস্টেমের জন্য একটি সাধারন ক্লায়েন্ট
swat – সাম্বা ওয়েব এডমিনিস্ট্রেশন টুল
samba-doc – সাম্বা ডকুমেনটেশন
smbfs – smbfs এর জন্য মাউন্ট এবং আনমাউন্ট কমান্ডসমূহ (কার্নেল 2.2.x এবং তার উপরের).
libpam-smbpass – সাম্বা পাসওয়ার্ড ডাটাবেজ এর জন্য বিশেষ ক্ষমতা প্রদানকারী মডিউল
libsmbclient – সাম্বা সার্ভার এর সাথে প্রোগ্রামসমূহের যোগাযোগের জন্য একটি সাধারন লাইব্রেরী
libsmbclient-dev – libsmbclient সাধারন সাম্বা ক্লায়েন্ট লাইব্রেরী
winbind: উইন্ডোজ এনটি সার্ভার হতে ব্যবহারকারী এবং গ্রুপ তথ্য পাওয়ার জন্য বিশেষ সার্ভিস
python2.3-samba: সাম্বার জন্য পাইথন এর সমন্বয়করন যেটি সাম্বার বিভিন্ন সার্ভিসগুলি আদায়ের জন্য সহায়তা করে থাকে

উল্লেখ্য যে, সব প্যাকেজ ইনস্টল না করে শুধুমাত্র প্রয়োজন ভিত্তিক নির্দিষ্ট সংখ্যক প্যাকজে ইনস্টল করলেই চলে। উদাহরনস্বরূপ, অন্যান্য সাম্বা সার্ভার এ প্রবেশ করার জন্য শুধুমাত্র smbclient এবং samba-common প্যাকেজ দুটিই যথেষ্ট।

  • ডেবিয়ানে সাম্বা ইনস্টল করা


#apt-get install samba samba-client

এখন আপনাকে কিছু বেসিক কনফিগারেশন দিয়ে দিতে হবে ইনস্টলের সময় যেমনঃ ওয়ার্কগ্রুপ অথবা ডোমেইন নেম এবং অন্যান্য কিছু প্রশ্ন। এ সমস্ত প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর দিলেই সঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন।

  • ডিরেক্টরী বা ফোল্ডার এবং ব্যবহারকারী তৈরী করা

উইন্ডোজ এর সাথে ব্যবহার এর জন্য আসুন প্রথমেই একটি ফোল্ডার তৈরী করিঃ

#mkdir samba

এ ফোল্ডার এ কাজ করার জন্য একজন ব্যবহারকারী তৈরী করে নেই

#useradd ruchi

এ ব্যবহারকারীর জন্য একটি পাসওয়ার্ড তৈরী করিঃ

#smbpasswd -a ruchi

  • সাম্বা কনফিগারেশন ফাইল

সাম্বা কনফিগারেশন ফাইলটি /etc/samba/smb.conf লোকেশনে অবস্থিত।

এ ফাইলের প্রধান সেকশনটি হচ্ছে Global যেখানে আপনি নিচের উদাহরনের মত সমস্ত অপশনগুলি সেট করতে পারেনঃ

[global]

workgroup = debian
netbios name = debianserver
server string = %h server (Samba %v)
log file = /var/log/samba/log.%m
max log size = 1000
syslog = 0

এরপর আপনাকে শেয়ার ফোল্ডার এর অপশনগুলি কনফিগার করতে হবে (ex:-samba) ব্যবহারকারীর জন্য-নিচের মত করেঃ

[SAMBA]

path=/samba
browseable=yes
writeable=yes
valid users = ruchi
admin users = debain

আপনার কনফিগারেশ ঠিক হল কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য নিচের কমান্ডটি দিনঃ

#testparm

এখন আপনাকে সাম্বা সার্ভিস রিস্টার্ট করতে হবে নতুন পরিবর্তনগুলি কার্যকরী করার জন্যঃ

#/etc/init.d/samba restart

আরো বেশি অপশন জানতে চেক করুন
man smb.conf

  • আপনার সাম্বা কনফিগারেশন পরীক্ষা করুন


ruchi ব্যবহারকারীর জন্য আপনার সাম্বা কনফিগারেশন পরীক্ষা করতে নিচের কমান্ডটি দিনঃ

#smbclient -L //debianserver -U ruchi

  • উইন্ডোজ সিস্টেমকে কনফিগার করুন


প্রত্যেকটি সিস্টেমকে অনুমোদন দিন

উইন্ডোজ মেশিনে লগইন করুন যেকোন ব্যবহারকারী হিসেবে যার এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ক্ষমতা রয়েছে।

[Windows 2000] Start -> Settings -> Control Panel -> System -> Network Identification -> Properties -> Member of -> Domain -> ডোমেইন নেম দিন যেটি smb.conf ফাইলের ‘workgroup’ সেকশনে দেওয়া আছে-> ok

সাম্বা ফাইল সার্ভার এর জন্য রুট ব্যবহারকারী নাম এবং পাসওয়ার্ড দিন

যদি একজন বর্তমান ব্যবহারকারীকে একটি ওয়ার্কস্টেশন থেকে ট্রান্সফার করতে চান তবে একজন ব্যবহারকারী সাম্বা ফাইল সার্ভারে এবং ওয়ার্কস্টেশনে আগে থেকেই বর্তমান থাকলে আপনি সেক্ষেত্রে সাম্বা ফাইল সার্ভারে লগইন করে পারেন তাদের জন্য এবং যখন আপনি লগ আউট করবেন ওয়ার্কস্টেশন থেকে তাদের প্রোফাইলসমূহ সাম্বা ফাইল সার্ভারে কপি হয়ে যাবে।

ডেবিয়ান লিনাক্সে আইপি নেটওয়ার্কিং এর সাধারন বিষয়সমূহ

একটি ডেবিয়ান হোস্ট বা মেশিন এর ভিন্ন ভিন্ন ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) এড্রেস সম্বলিত কয়েকটি ইন্টারফেস থাকতে পারে। ইন্টারফেসগুলিকে বেশ কয়েকভাগে বিভক্ত করা যায় যেমনঃ

• Loopback: lo
• Ethernet: eth0, eth1
• Wi-Fi: wlan0, wlan1, wifi0,
• Token Ring: tr0, tr1
• PPP: ppp0, ppp1

এছাড়াও আরো বেশ কয়েকধরনের নেটওয়ার্ক ডিভাইস রয়েছে যেমন SLIP, PLIP (serial and parallel line IP), নির্দিষ্ট ইন্টারফেসে ট্রাফিক কন্ট্রোলিং এর জন্য”shaper” ডিভাইস, frame relay, AX.25, X.25, ARCnet, এবং LocalTalk.

ইন্টারনেট অথবা আইপি নির্ভর নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রত্যেকটি নেটওয়ার্ক ইন্টারফেসকে/কম্পিউটারকে একটি ৩২ বিটের আইপি এড্রেস দ্বারা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। আইপি এড্রেটি মূলত দুটি অংশে বিভক্ত-প্রথম অংশটি সরাসরি নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত এবং দ্বিতীয় অংশটি হোস্ট পার্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। এবার আপনি একটি নেটওয়ার্ক এড্রেসকে নিয়ে এর নেটওয়ার্ক এড্রেস এর জন্য ১ এবং হোস্ট এর জন্য ০ বরাদ্দ করুন তাহলে আপনি এ ইন্টারফেসের netmask পেয়ে যাবেন।

প্রথাগতভাবে আইপি নেটওয়ার্কসমূহ কে বিভিন্ন গ্রুপভিত্তিক ক্লাসে বিভক্ত করা হয়ে থাকে যাদের নেটওয়ার্ক এড্রেস অংশ সাধারনতঃ ৮, ১৬ অথবা ২৪ বিট দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। এ সিস্টেমটি যথেষ্ট সুবিধা দিতে পারেনি এবং অনেক আইপি এড্রেস এখানে অব্যবহৃত থাকত তাই বর্তমানে বিভিন্ন লেন্থের নেটওয়ার্ক পার্ট হিসেবে IPv4 টাইপের নেটওয়ার্ক বন্টন করা হয়ে থাকে।

IP addresses net mask length
Class A 1.0.0.0 – 126.255.255.255 255.0.0.0 = /8
Class B 128.0.0.0 – 191.255.255.255 255.255.0.0 = /16
Class C 192.0.0.0 – 223.255.255.255 255.255.255.0 = /24

যে সমস্ত আইপি এড্রেসগুলে এ রেঞ্জের মধ্যে পড়ে না তাদেরকে কিছু বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
লোকার এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান এ ব্যবহার করার জন্য প্রতিটি ক্লাসে কিছু এড্রেস রেঞ্জ রিজার্ভ রাখা আছে। ইন্টারনেটের কোন সিস্টেম এর সাথে যাথে কনফ্লিক্ট না হয় সেজন্যই এই ব্যবস্থা। এরই ভিত্তিতে বলা যায় যে, যদি কোন সিস্টেমে এই রেঞ্জের কোন এড্রেস সেট করা হয় তবে উক্ত সিস্টেম ইন্টারনেটে সরাসরি একসেস করতে পারবে না তাকে অবশ্যই কোন নেটওয়ার্ক প্রক্সি সার্ভিস যেটি তার ডিফল্ট গেটওয়ে তার মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে – যেটিকে অনেকসময় নেটওয়ার্ক এড্রেস অনুবাদক বলা হয়ে থাকে। এই এড্রেস রেঞ্জগুলিকে নিচের টেবিলে প্রতিটি ক্লাসের সাথে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হলঃ

network addresses length how many
Class A 10.x.x.x /8 1
Class B 172.16.x.x – 172.31.x.x /16 16
Class C 192.168.0.x – 192.168.255.x /24 256

একটি আইপি নেটওয়ার্ক এর প্রথম এড্রেস হচ্ছে এর নিজস্ব নেটওয়ার্ক এড্রেস এবং সর্বশেষ এড্রেসটি হচ্ছে নেটওয়ার্কের ব্রডকাস্ট এড্রেস। বাকি এড্রেসগুলিকে নেটওয়ার্ক এর হোস্টগুলির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে। এ এড্রেসগুলির মধ্যে প্রথম অথবা শেষের এড্রেসটি সাধারনত নেটওয়ার্ক এর ইন্টারনেট গেটওয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।

রাউটিং টেবিল এ একটি আইপি প্যাকেটকে কিভাবে তার গন্তব্যস্থলে পাঠানো হবে কার্নেলের সেই সংক্রান্ত তথ্যগুলি থাকে। এখানে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এ অবস্থিত একটি ডেবিয়ান হোস্ট এর রাউটিং টেবিল এর স্যাম্পল প্রিন্ট আউটপুট দেয়া হল যার এড্রেস 192.168.50.x/24। কর্পোরেট নেটওয়ার্ক এর জন্য হোস্ট ১৯২.১৬৮.৫০.১ (যেটি একই সাথে ল্যানে অবস্থিত) হচ্ছে একটি রাউটার এবং অপেক্ষাকৃত বড় নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট এর জন্য রাউটার হচ্ছে ১৯২.১৬৮.৫০.২৫৪ হোস্টটি।

# route

Kernel IP routing table
Destination Gateway Genmask Flags Metric Ref Use Iface
127.0.0.0 * 255.0.0.0 U 0 0 2 lo
192.168.50.0 * 255.255.255.0 U 0 0 137 eth0
172.20.0.0 192.168.50.1 255.255.0.0 UG 1 0 7 eth0
default 192.168.50.254 0.0.0.0 UG 1 0 36 eth0

• হেডিং এর পর প্রথম লাইনটিতে বলা হয়েছে যে নেটওয়ার্কটি 127.x.x.x সম্বলিত সেটি লুপব্যাক ইন্টারফেস এর মাধ্যমে রাউটেড/নির্দেশিত হবে।
• দ্বিতীয় লাইনে বলা হয়েছে ল্যান এ অবস্থিত হোস্টসমূহের ট্রাফিকগুলি eth0 এর মাধ্যমে রাউটেড হবে।
• তৃতীয় লাইনে বলা হচ্ছে কর্পোরেট নেটওয়ার্ক এর ট্রাফিকগুলি eth0 এর মাধ্যমে 192.168.50.1 গেটওয়ে ব্যবহার করে রাউটেড হবে।
• চতুর্থ লাইন বলছে বৃহৎ ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এর জন্য ট্রাফিকটি 192.168.50.254 এড্রেস এর মাধ্যমে রাউটেড হবে যেটি আসলে eth0।

টেবিলে আইপি এড্রেস সমূহকে তাদের নাম অনুযায়ী ও দেয়া হয় অনেকসময় যেটি সাধারন /etc/networks এ অবস্থিত এড্রেসগুলি থেকে নেয়া হয় অথবা সি লাইব্রেরী পরিবর্তক ব্যবহার করেও পাওয়া যায়।

রাউটিং এর কাজ ছাড়াও কার্নেল এ সংক্রান্ত আরো বেশ কিছু কাজ যেমন নেটওয়ার্ক এড্রেস পরিবর্তক, ট্রাফিক সিস্টেম এর আকার তৈরী এবং ফিল্টারিং এর কাজ করে থাকে।

  • কিভাবে হোস্ট নেম সেট করবেন

ডেবিয়ান ইনস্টলেশনের সময় হোস্টনেম সেট করার জন্য খুব সহজ পথ রয়েছে। আপনি hostname কমান্ড এর সাহায্যে এটি সরাসরি খুজতে পারেন ও সেট করতে পারেন।
একজন ব্যবহারকারী হিসেবে বর্তমান হোস্টনেম দেখার কমান্ড হচ্ছেঃ
$ /bin/hostname

উদাহরন

সরাসরি হোস্টনেম সেট করতে হলে রুট হিসেবে লগইন করে কমান্ড দিনঃ
/bin/hostname newname

যখন আপনার সিস্টেম নতুন করে বুট হবে তখন /etc/hostname থেকে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হোস্টনেমগুলি রিড করবে।

  • কিভাবে DNS সেট করবেন

ডেবিয়ান DNS সেট করার প্রক্রিয়াটি অন্যান্য ডিস্ট্রিবিউশনের থেকে ভিন্ন নয়। আপনি হোস্টনেম এবং আইপি এড্রেসগুলি /etc/hosts ফাইলে যোগ করতে পারেন স্ট্যাটিক ভাবে শো করার জন্য।
আপনার মেশিনকে কোন একটি নির্দিষ্ট সার্ভারে নাম খোজার জন্য আপনি তার এড্রেস /etc/resolv.conf ফাইলে সেট করে দিতে পারেন।
উদাহরনস্বরূপ একটি মেশিনকে 192.168.1.1 এড্রেসে DNS সার্ভার খুজে পেতে হলে তার resolv.conf ফাইল এর অপশনগুলি মোটামুটি এরকম হবেঃ
search test.com
nameserver 192.168.3.2

  • আইপি এড্রেস সেট করার প্রক্রিয়া

যেকোন নেটওয়ার্ক কার্ড এর সাথে সংশ্লিষ্ট আইপি এড্রেসগুলিকে /etc/network/interfaces ফাইল হতে দেখে নেয়া যেতে পারে।

একটি স্ট্যাটিক এড্রেস সম্বলিত মেশিনের স্যাম্পল মোটামুটি নিচের মত হয়ে থাকেঃ

# The loopback network interface
auto lo
iface lo inet loopback

# The primary network interface
auto eth0
iface eth0 inet static
address 192.168.3.90
gateway 192.168.3.1
netmask 255.255.255.0
network 192.168.3.0
broadcast 192.168.3.255

এখানে আমরা আইপি এড্রেস হিসেবে 192.168.3.90 সেট করেছি, ডিফল্ট গেটওয়ে হচ্ছে 192.168.3.1, এবং সবশেষে নেটমাস্ক।

যে মেশিন DHCP দ্বারা পরিচালিত তার কনফিগারেশন আরো সহজঃ

# The loopback network interface
auto lo
iface lo inet loopback

# The primary network interface – use DHCP to find our address
auto eth0
iface eth0 inet dhcp

(যদি আপনি DHCP নির্ভর সেটআপ ব্যবহার করেন তবে আপনাকে অবশ্যই DHCP ক্লায়েন্ট প্যাকেজ ইনস্টল করে নিতে হবে যেমন – pump,dhcpcd অথবা dhcp3-client এর যেকোন একটি। যদি আপনি এ ফাইলে কোন পরির্বতন করেন/নেটওয়ার্ক সেটআপে কোন পরিবর্তন করেন তবে সেটি কার্যকর করার জন্য নিচের কমান্ডটি দিতে হবেঃ

/etc/init.d/networking restart

  • ডেবিয়ানে দ্বিতীয় আইপি এড্রেস অথবা ভার্চুয়্যাল আইপি এড্রেস সেট করা

যদি আপনি একজন সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর হয়ে থাকেন অথবা একজন সাধারন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে মাঝে মধ্যে একটি ডেবিয়ান মেশিনে দ্বিতীয় আইপি এড্রেস সেট করার প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য আপনাকে /etc/network/interfaces ফাইলটি এডিট করার প্রয়োজন হবে এবং নিচের ফরম্যাট অনুযায়ী আরো একটি এন্ট্রি যোগ করতে হবে। নিচের উদাহরনটি একটি স্যাম্পল হিসেবে দেয়া হয়েছে এবং এটিকি আপনার আইপি এড্রেস সেটিং অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিতে হবে।

auto eth0:1
iface eth0:1 inet static
address 192.168.1.60
netmask 255.255.255.0
network x.x.x.x
broadcast x.x.x.x
gateway x.x.x.x

আপনাকে পরিপূর্ন বিবরন যথা এড্রেস, নেটমাস্ক, নেটওয়ার্ক ব্রডকাস্ট এবং গেটওয়ের মান বসিয়ে ফাইলটি সংরক্ষন করতে হবে এবং নেটওয়ার্ক সার্ভিসটি নতুন করে চালু করতে হবে নতুন আইপি এড্রেসটি কার্যকর করার জন্য নিচের কমান্ডটি প্রয়োগের মাধ্যমেঃ

#/etc/init.d/networking restart
নতুন আইপি এড্রেস ঠিকমত বসানো হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য নিচের কমান্ডটি দিনঃ

#/sbin/ifconfig

  • ডিফল্ট গেটওয়ে বসানো

যদি আপনি আগের সেকশন পড়ে থাকেন তাহলে আপনি দেখবেন /etc/network/interfaces ফাইলে একটি হোস্টের জন্য একটি স্ট্যাটিক আইপি এড্রেসকে ডিফল্ট রুট হিসেবে সেট করা যায়। যদি আপনি আপনার বর্তমান ডিফল্ট রুট/গেটওয়ে দেখতে চান তাহলে নিচের কমান্ডটি দিনঃ

# netstat -nr

Kernel IP routing table
Destination Gateway Genmask Flags MSS Window irtt Iface
192.168.3.0 0.0.0.0 255.255.255.0 U 0 0 0 eth0
0.0.0.0 192.168.3.1 0.0.0.0 UG 0 0 0 eth0

অথবা আপনি route কমান্ডটি ও ব্যবহার করতে পারেনঃ

# /sbin/route

Kernel IP routing table
Destination Gateway Genmask Flags Metric Ref Use Iface
192.168.3.0 * 255.255.255.0 U 0 0 0 eth0
default router 0.0.0.0 UG 0 0 0 eth0

(এখানে আইপি এড্রেস 192.168.3.1 এর বদলে হোস্ট নেম দিয়ে রাউটারকে দেখানো হয়েছে- এটি করতে না চাইলে “/sbin/route -n” কমান্ড দিন).

আপনি ডিফল্ট রুট পরিবর্তন করতে চাইলে প্রথমে অবশ্যই আগেরটিকে মুছে ফেলতে হবেঃ

/sbin/route del default gw 192.168.3.1

এটি মুছে দেবার পর আপনার আর কোন গেটওয়ে থাকবে না এবং মেশিন লোকাল নেটওয়ার্কের বাইরে কোন হোস্ট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। নতুন গেটওয়ে সেট করার জন্য কমান্ড দিনঃ

/sbin/route add default gw 192.168.3.100

  • নেটওয়ার্ক পরীক্ষার মৌলিক কিছু কমান্ড

netkit-ping, traceroute, dnsutils, ipchains (for 2.2 kernel), iptables (for 2.4 kernel)এবং net-tools প্যাকেজগুলি ইনস্টল করে নিন এবং নিচের কমান্ডগুলি দিন

$ ping google.com # ইন্টারনেট কানেকশন চেক করুন

$ traceroute google.com # আইপি প্যাকেট ট্রেস করার জন্য

$ ifconfig # হোস্ট এর কনফিগারেশন চেক করার জন্য

$ route -n # রাউটিং ইনফরমেশন চেক করার জন্য

$ dig [@dns-server.com] host.dom [{a|mx|any}] |less # host.dom এর জন্য
dns-server.com এর DNS records চেক করুন[{a|mx|any}]রেকর্ডের জন্য

$ ipchains -L -n |less # প্যাকেট ফিল্টার চেক করার জন্য (2.2 kernel)

$ iptables -L -n |less # প্যাকেট ফিল্টার চেক করার জন্য(2.4 kernel)

$ netstat -a # সকল খোলা পোর্ট খুজে বের করে

$ netstat -l –inet # যে সকল পোর্ট কাজ করছে সেগুলো খুজে বের করে

$ netstat -ln –tcp # কার্যকর টিসিপি পোর্ট খুজে বের করে

উবুন্টু ও উইন্ডোজের দুইটি পিসির মধ্যে ল্যানের মাধ্যমে ফাইল আদানপ্রদান





লিখেছেন শাহরিয়ার তারিক
শুক্রবার, 04 জুলাই 2008
আমাদের অনেকের বাসায়ই বা অফিসে একাধিক পিসি থাকে। মাঝে মধ্যেই এক পিসি থেকে অন্য পিসিতে তথ্য আদানপ্রদান করতে হলে বারবার পেনড্রাইভ বা এক্সটার্ন্যাল ড্রাইভ ব্যবহার করা বিরক্তিকর হতে পারে। এজন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পিসি দুইটির মধ্যে যদি ল্যান সেটিং স্থাপন করে নেয়া।

কিছুদিন পূর্বে আমাদের পরিচিত হাসান ইমতিয়াজ ভাই তার বাসার দুইটি পিসিতে ল্যান সেটিং এর মাধ্যমে ফাইল শেয়ার করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু করতে গিয়ে দেখেন উইন্ডোজ সিস্টেমে ল্যান সেটিং করার জন্য অনেক টিউটোরিয়াল থাকলেও উবুন্টুর জন্য সুনির্দিষ্ট টিউটোরিয়াল নেই। তিনি স্মরনাপন্ন হলেন আমাদের irc #ubuntu-bd চ্যানেলে। সেখানে শিপলু ভাই, রাসেল ভাই, নাসিম ভাইসহ আরও কয়েকজন সাহায্য করেন। এবং নিজে কিছুটা ইন্টারনেট ঘেটে যা জেনেছেন তা প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান করেন। এখন তিনি (কিছু ক্ষুদ্র সমস্যা ছাড়া) ভালোই দুইটি কম্পিউটারের মধ্যে ল্যান সেটিং করে ফাইল আদানপ্রদান করছেন। তাহলে এবার মূল কথায় চলে যাওয়া যাক।

প্রয়োজনীয় উপকরণ
এই লেখাটি পড়ার পর আপনারা ক্রসওভার ল্যান ক্যাবল দিয়ে দুইটি কম্পিউটার সংযুক্ত করতে পারবেন ফাইল শেয়ারিং-এর উদ্দেশ্যে। যদি দুইটির বেশি কম্পিউটার ফাইল শেয়ারিং এর জন্য সংযুক্ত করার প্রয়োজন পরে তবে কিন্তু নেটওয়ার্ক হাবের (HUB) প্রয়োজন পরবে। ল্যান সেটিং-এর জন্য যেসকল উপকরণের প্রয়োজন পরবে সেগুলো হলো-

=> ১০/১০০ এমবি/এস ল্যান কার্ডসহ উবুন্টু ৮.০৪ কম্পিউটার
=> ১০/১০০ এমবি/এস ল্যান কার্ডসহ উইন্ডোজ এক্সপি প্রফেশন্যাল কম্পিউটার
=> ক্রসওভ্যার ল্যান কেবল (cross-over LAN cable)
=> কিছু ফাইল ও প্যাকেজ ইনস্টলের জন্য ইন্টারনেট কানেকশন অথবা উবুন্টু লোকাল রিপোসিটরি।
=> দুইটি কম্পিউটারে এডমিনিস্ট্রেটর একাউন্ট

পদ্ধতি:
প্রথমে আপনার উবুন্টু কম্পিউটারে লগ ইন করুন এবং স্যাইন্যাপটিক প্যাকেজ ম্যানেজমেন্ট অথবা কমান্ড লাইন ব্যবহার করে নিম্নোক্ত প্যাকেজ দুইটি ইনস্টল করুন। => samba => smbfs

এখন নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরন করুন।

1.নেটওয়ার্ক কনফিগার করার জন্য নেটওয়ার্ক প্যাকেজ খুলুন। (system>>Administrator>>Network)

2.Unlock ক্লিক করে আপনার এডমিনিস্ট্রেরট পাসওয়ার্ড দিন।

3.Wired Connection নির্বাচিত করে Properties ক্লিক করুন।

4.Static IP Address নির্বাচন করে 192.168.0.1 এরকম কোন IP Address দিন।

5.এবার Subnet Mask ফিল্ড নির্বাচন করুন। এটি সংক্রিয়ভাবে মান বসাবে।

6.ok নির্বাচন করুন। এবার close করুন।

7.এবার আপনার উইন্ডোজ কম্পিউটারে এডমিন একাউন্টে লগইন করুন।

8.এখানে নেটওয়ার্ক সেটিং-এর জন্য নেটওয়ার্ক কানেকশনে যান। (Start>>Settings>>Network Connections )

9.TCP/IP সেটিং properties নির্বাচন করুন।

10.এখানে আপনি নিজের IP এ্যাড্রেস লিখুন যা উবুন্টু কম্পিউটারের IP থেকে সর্বশেষ ডিজিটে পার্থক্য থাকবে। যেমন- 192.168.0.2

11.এবার Subnet Mask ফিল্ডে নির্বাচন করুন। এটি সয়ংক্রিয়ভাবে 255.255.255.0 -তে সেট হবে।

12.এখন ক্রসওভ্যার ল্যান কেবলের RJ-45 কানেক্টর দুইটি কম্পিউটারেই সংযুক্ত করুন। আপনাকে এসময় উইন্ডোজ কম্পিউটারে ১০০ এমবি/সেঃ কেবল সংযুক্ত আছে এটা নোট করতে হবে।

13.উইন্ডোজ কম্পিউটারে My Network Places-এ যান। সেখানে ‘Set up a home or small office network’ নির্বাচন করুন।

14.কম্পিউটারটিকে একটি নাম দিন যাতে অন্য কম্পিউটার থেকে এই কম্পিউটারটি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। ওয়ার্কগ্রুপের নাম রাখুন ‘WORKGROUP’

15.ফাইল শেয়ারিং সক্রিয় করার জন্য আপনি যে ফোল্ডার শেয়ার করতে চান সেটিতে রাইট ক্লিক করে ‘Sharing and Security’ নির্বাচন করুন।

16.এবার ‘Sharing this folder on the network’ নির্বাচন করে সঠিক নাম প্রদান করুন।

17.ok ক্লিক করুন। তাহলেই ফোল্ডারটি শেয়ার‍্ড হয়ে গেলো।

18.উবুন্টু কম্পিউটারে শেয়ারিং সয়ংক্রিয় করার জন্য একই রকম কাজ করার প্রয়োজন। যে ফোল্ডারটি শেয়ার করতে চান তাতে রাইট ক্লিক করে ‘Sharing Options’ নির্বাচন করুন।

19.তিনটি চেকবক্সের সবগুলো নির্বাচন করুন। ok ক্লিক করুন।

20.দুইটি কম্পিউটারই চালু করুন। (আগে উইন্ডোজ কম্পিউটারটি চালু করতে হবে এরপর উবুন্টু কম্পিউটারটি)

21.এখন দুইটি কম্পিউটার থেকে নেটওয়ার্ক ping করে দেখুন নেটওয়ার্ক কাজ করছে নাকি।

22.উইন্ডোজ কম্পিউটারে ‘start>>run’ ‘cmd’ লিখে এন্টার চাপুন। কমান্ড প্রম্পট আসলে ‘ping 192.168.0.1’ লিখে এন্টার চেপে ping করে দেখুন উবুন্টু কম্পিউটারকে। ডাটা ট্রান্সফার সফল হয়েছে দেখতে পাবার কথা।

23.একই রকমভাবে উবুন্টু কম্পিউটারে ‘Applications>>Accessories>>Terminal’ থেকে টার্মিন্যাল খুলে ‘ping 192.168.0.2 কমান্ডটি লিখে ping করুন উইন্ডোজ কম্পিউটারকে। এক্ষেত্রেও ডাটা ট্রান্সফার সফল হয়েছে দেখতে পাবার কথা।

24.এবার উবুন্টু কম্পিউটারে Alt+F2 লিখে কমান্ড প্রম্পট আনুন। ‘smb://192.168.0.2/ লিখে এন্টার চাপুন। আপনার ফাইল ব্রাউসারে এখন উইনডোজ কম্পিউটারটিতে অবস্থিত শেয়ার‍্ড ফোল্ডারটি দেখাবে।

25.উইন্ডোজ কম্পিউটার থেকে উবুন্টু কম্পিউটারে অবস্থিত শেয়ার‍্ড ফোল্ডার ব্রাউজ করার জন্য ‘Start>>Run’ থেকে 192.168.0.1 লিখে এন্টার চাপুন। উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে উবুন্টু কম্পিউটারের শেয়ার‍্ড ফোল্ডার দেখাবে।

পরিশেষে
উপরে বর্নিত পদ্ধতিতে উবুন্টু ও উইন্ডোজ কম্পিউটারের মাঝে ফাইল শেয়ারিং করা সম্ভব হলেও একটি সমস্যা দেখা গেছে। আপনি যদি উইন্ডোজ কম্পিউটার চালুর আগে উবুন্টু কম্পিউটার চালু করেন তাহলে ফাইল শেয়ারিং করা যায় না। উবুন্টু কম্পিউটার আগে চালু করার প্রয়োজন পরছে। তবে উবুন্টু কম্পিউটার রিস্টার্ট করলেও ফাইল শেয়ারিং সম্ভব হবে।